দশম পাঠ



বাঁশগাছে বাঁদর। যত ঝাঁকা দেয় ডাল তত কাঁপে।

ওকে দেখে পাঁচু ভয় পায়, পাছে আঁচড় দেয়।

বাঁশগাছ থেকে লাফ দিয়ে বাঁদর গেল চাঁপাগাছে। কী জানি, কখন ঝাঁপ দিয়ে নীচে পড়ে।

এইবার বাঁদর ভয় পেয়েচে। ভোঁদা কুকুর ওকে দেখে ডাকচে। খাঁদু ওকে ঢিল ছুঁড়ে তাড়া করেচে।

পাঁচটা বেজে গেচে।

ঝাঁকায় কাঁচা আম নিয়ে মধু গলিতে হেঁকে যায়।

আঁধার হ’লো। ঐ-যে চাঁপাগাছের ফাঁকে বাঁকা চাঁদ। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে হাঁস উড়ে গেল।

দূরে ঠাকুর-ঘরে শাঁক বাজে, কাঁসি বাজে। কানাই ছাদে ব’সে বাঁশি বাজায়।

ঐ কে যেন কাঁদে।

না, কাঁদা নয়, কাঁটা গাছে পেঁচা ডাকে।

                       কত দিন ভাবে ফুল            উড়ে যাবো কবে ,


                       যেথা খুসি সেথা যাবো          ভারী মজা হবে ।


                       তাই ফুল একদিন              মেলি দিল ডানা ,


                       প্রজাপতি হ ' লো , তারে        কে করিবে মানা!

                       রোজ রোজ ভাবে ব ' সে         প্রদীপের আলো


                       উড়িতে পেতাম যদি             হ ত বড়ো ভালো ।


                       ভাবিতে ভাবিতে শেষে           কবে পেলো পাখা ,


                       জোনাকি হ ' লো সে —         ঘরে যায় না তো রাখা ।

                       পুকুরের জল ভাবে ,            চুপ ক ' রে থাকি ,


                       হায় হায় , কী মজায়           উড়ে যায় পাখী ।


                       তাই একদিন বুঝি                ধোঁয়া-ডানা মেলে


                       মেঘ হয়ে আকাশেতে             গেল অবহেলে ।

                       আমি ভাবি ঘোড়া হয়ে           মাঠ হবো পার ,


                       কভু ভাবি মাছ হয়ে            কাটিব সাঁতার ।


                       কভু ভাবি পাখী হয়ে           উড়িব গগনে ।


                       কখোনো হবে না সে কি         ভাবি যাহা মনে ?